আমাদের এই দেশে রয়েছে নাম জানা অজানা অনেক প্রজাতির পাখি। এর মধ্যে অন্যতম হলো দোয়েল পাখি। আরেকটি মজার ব্যাপার হলো এই দোয়েল পাখিই হলো আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় পাখি। দোয়েল পাখির বৈশিষ্ট্য রয়েছে বিচিত্র ধরণের, যা এই পাখিকে অন্যসব পাখির থেকে অনন্য করেছে।
আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সাথেও দোয়েল পাখির নাম জড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের দুই টাকার নোটে দোয়েলের ছবি রয়েছে। দোয়েল নামে বর্তমানে বাংলাদেশে ল্যাপটপ ও তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থপতি আজিজুল হক পাশা নির্মিত একটি চত্বর এর নাম ও দোয়েল চত্বর। এবার আমরা দোয়েল পাখি সম্পর্কে আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানব।
দোয়েল পাখির পরিচিতি
আমাদের জাতীয় পাখি দোয়েল Passeriformes বর্গের অন্তর্গত Muscicapidae গোত্রের সদস্য। এ পাখির বৈজ্ঞানিক নাম Copsychus saularis। এবং ইংরেজি নাম Magpie Robin। এছাড়াও ফরাসী ভাষায় দোয়েল কে Shama dayal ও ওলন্দাজ ভাষায় Dayallijster বলা হয়। বাংলাদেশে এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যিনি দোয়েল পাখি চেনেন না। খুবই চমৎকার ও দৃষ্টিনন্দন পাখি হলো দোয়েল পাখি। বাংলাদেশের শহর, নগর, গ্ৰাম, বন জঙ্গল সব জায়গাতেই দোয়েলের দেখা মেলে।
দোয়েল পাখির বৈশিষ্ট্য
সাদা ও কালো রঙের আকর্ষণীয় পালকে দোয়েল পাখির দেহ ঢাকা থাকে। দোয়েল পাখির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে উল্লেখ করা হলো:
দোয়েল পাখি সাধারণত পোকা মাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করে থাকে। সারাদিন এরা খাবারের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। গাছে বসবাস করা বিভিন্ন প্রজাতির পোকা মাকড় এরা খেয়ে থাকে। এছাড়াও ক্ষেতের বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকামাকড় দোয়েল পাখি খেয়ে থাকে।
আরেকটি মজার ব্যাপার হলো, খাবারের খোঁজে দোয়েল পাখি শুধু যে এক গাছ থেকে আরেক গাছ এবং এক ক্ষেত থেকে আরেক ক্ষেতে সারাদিন ঘুরে বেড়ায় তা কিন্তু নয়, এরা মানুষের বাসা বাড়ির ভেতরে উঠান ও ঘরের চালায় ও খাবারের খোঁজে চলে আসে। কখনো কখনো বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকা ভাত ও খায় দোয়েল পাখি। এই কারনে দোয়েল পাখির সাথে মানুষের সম্পর্ক খুব ভালো।
এছাড়াও দোয়েল পাখি মধুর সুরে গান গাইতে পারে। খুব ভোরে এরা মধুর সুরে গান গায়, যা শুনে অনেকরই সকাল বেলার ঘুম ভাঙে। এজন্য অনেকে দোয়েল পাখিকে গায়ক পাখি ও বলে থাকে। পেট ভরে থাকলে এরা এক গাছ থেকে আরেক গাছে তিরিং বিরিং করে লেজ নাড়িয়ে ঘুরে বেড়ায়। শুধু তাই নয়, দোয়েল পাখি চাইলে অন্য কোন পাখির ডাক ও নকল করতে পারে।
প্রজনন ঋতুতে পুরুষ দোয়েল মিষ্টি সুরে গান গাইতে শুরু করে এবং তা শুনে নারী দোয়েল আকৃষ্ট হয়। এরপর তারা জোড়া বাঁধে এবং গাছের মগডালে বাসা বানায়। এরপর ডিম পাড়ার মাধ্যমে তাদের বংশ বিস্তার করা শুরু করে।
একটি স্ত্রী দোয়েল পাখি সাধারণত ৫ থেকে ৬ টি ডিম দিয়ে থাকে। দোয়েলের ডিমের রং হালকা নীলচে সবুজ এবং এর উপর বাদামী রঙের ছোপ থাকে। পুরুষ ও স্ত্রী দোয়েল পালাক্রমে তাদের ডিমে তা দিতে থাকে। এভাবে প্রায় ১৫-১৬ দিন পর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এরপর বাবা ও মা দোয়েল ঠোঁট দিয়ে তাদের বাচ্চাদের কে খাবার খাওয়ায়।
দোয়েল পাখির শারীরিক গঠন
দোয়েল পাখির শারীরিক গঠন সম্পর্কিত যেসব বৈশিষ্ট্য দেখা যায় তা হলো, দোয়েল পাখির দেহের দৈর্ঘ্য সাধারণত ১৮-২১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও দোয়েল পাখির গড় ওজন ৩০-৮০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এদের দেহ সাদা ও কালচে বাদামী রঙের পালকে ঢাকা থাকে। এদের ডানায় লম্বা সাদা দাগ ও কালচে বাদামী বর্ণের পালক থাকে। এদের ডানায় সাদা রঙের পালক রয়েছে যা শুধু আকাশে উড়ায়মান অবস্থায় দেখা যায়। যখন ডানা বন্ধ করে রাখে তখন কালচে রঙের মনে হয়। এদের লেজ অধিকাংশ সময় খাড়া অবস্থায় দেখা যায়। দোয়েল পাখির লেজ কালো বর্ণের তবে শেষ অংশ সাদা এবং লেজের নিচের অংশ লালচে বাদামি রঙের।
দোয়েল পাখির মাথা, কপাল, গলা ও বুক চকচকে কালো বর্ণের হয়ে থাকে। এদের চোখের চারপাশে ঘন কালো রঙের ও চোখের মণির রং পিঙ্গল বর্ণের। দোয়েলের ঠোঁট ছুঁচালো যা দিয়ে তারা পোকামাকড় শিকার করতে সক্ষম। এদের ঠোঁট ও কালো রঙের হয়। এছাড়াও এদের পেটের অংশ সাদা রঙের হয়ে থাকে।
পুরুষ ও স্ত্রী দোয়েল চিনবার উপায়
পুরুষ ও স্ত্রী দোয়েল পাখি আমরা কিভাবে চিনব? এদের চেনার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। শারীরিক গঠনের দিক দিয়ে পুরুষ ও স্ত্রী দোয়েল পাখির মাঝে বেশ কিছু পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। এখানে তা উল্লেখ করা হলো।
পুরুষ দোয়েল পাখির শরীরের উপরিভাগ ও গলার নিচের অংশ কালো রঙের হয় কিন্তু স্ত্রী দোয়েলের শরীরের উপরিভাগ ও গলার নিচের অংশ ছাই রঙের হয়ে থাকে। এছাড়াও পুরুষ দোয়েলের পেটের অংশ উজ্জ্বল সাদা রঙের হলেও স্ত্রী দোয়েলের পেটের অংশ তুলনামূলক কম উজ্জ্বল হয়।
এভাবে আমরা এইসব বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পুরুষ ও স্ত্রী দোয়েল পাখি চিনতে পারব।
দোয়েল পাখির বাসস্থান
দোয়েল পাখি হলো শান্তিপ্রিয় পাখি। অন্যসব পাখির মতো এরা যেখানে সেখানে বসবাস করে না। আমরা এখানে দোয়েল পাখির বাসস্থান সম্পর্কে আলোচনা করব।
দোয়েল পাখি সাধারণত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকতে পছন্দ করে। এজন্য এরা পৃথিবীর নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার অঞ্চল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বসবাস করে। এরা মূলত দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনে ও চীনের দক্ষিণাঞ্চলের এলাকা গুলোতে বসবাস করে।
দোয়েল পাখি সাধারণত নিরিবিলি পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে। এজন্য এরা গাছ পালা সমৃদ্ধ এলাকায় বেশি বসবাস করে। এছাড়াও এরা বিভিন্ন ফসলের মাঠ ও মানুষের বসত বাড়ির আশেপাশে থাকতে ভালোবাসে। বাংলাদেশের গ্ৰাম্য এলাকায় প্রচুর গাছপালা ও নিরিবিলি পরিবেশ বিরাজমান থাকায় গ্ৰামে এদের বেশি দেখা যায়। এসব জায়গা থেকে এদের খাবার সংগ্রহ করাও তুলনামূলক সহজ হয়। এজন্য তারা এসব জায়গাকে নিজেদের বাসস্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে। দোয়েল পাখি সাধারণত গাছে তাদের বাসস্থান তৈরি করে।
দোয়েল পাখির বাসার ধরন
আমরা এখন দোয়েল পাখির বাসার ধরন সম্পর্কে জানব। দোয়েল পাখির দুই ধরনের বাসা দেখা যায়। যেমন: তারা গাছের মগডালে পাতার আড়ালে খড়কুটো দিয়ে অস্থায়ী বাসা বানায় এছাড়াও তারা গাছের কোন কোটোরে খড়কুটো জমা করে সেখানে বাসা বানাতে পারে। যাতে সেখানে তারা তাদের ডিম ও বাচ্চা সুরক্ষিত রাখতে পারে।
দোয়েল পাখির খাদ্যাভ্যাস
দোয়েল পাখি বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। এখানে আমরা দোয়েল পাখির খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানব।
দোয়েল পাখি মূলতঃ কীট পতঙ্গ, পোকা মাকড় ও বিভিন্ন ধরনের ফড়িং খেয়ে জীবন ধারণ করে থাকে। দোয়েল পাখির প্রিয় খাবার হলো শুঁয়োপোকা ও কীটপতঙ্গ। এরা গাছ থেকে এবং চাষকৃত জমি থেকে এসব কীট পতঙ্গ, পোকা মাকড় ও বিভিন্ন ধরনের ফড়িং শিকার করে খায়। এছাড়া মাঝে মধ্যে এরা মানুষের বসত বাড়িতে আসে বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকা ভাত খেতে। দোয়েল পাখি সাধারণত এসব আহার করে তার জীবিকা নির্বাহ করে।
দোয়েল পাখির প্রজনন
দোয়েল পাখি সাধারণত জোড়ায় জোড়ায় বসবাস করে। সাধারণত এদের প্রজনন ঋতু হলো এপ্রিল থেকে জুলাই মাস। প্রজনন মৌসুমে পুরুষ ও স্ত্রী দোয়েল নিজেদের বাসা বানায় ও ডিম পাড়ে। দোয়েল সর্বচ্চ ৫-৬ টি ডিম দিয়ে থাকে। তবে অধিকাংশ সময় ৪ টি ডিম দিয়ে থাকে। পুরুষ ও স্ত্রী দোয়েল পালাক্রমে ডিমে তা দেয়। প্রায় ২ সপ্তাহ পর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এভাবে দোয়েল পাখির প্রজনন চলতে থাকে।
দোয়েল পাখির উপকারিতা
দোয়েল পাখি পরিবেশের অনেক উপকার করে থাকে। আমরা এখানে দোয়েল পাখির উপকারিতা সম্পর্কে জানব।
দোয়েল পাখিকে কৃষকের পরম বন্ধু বলা চলে, কারণ দোয়েল পাখি ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে বিনাশ করে। এতে ফলন ভালো হয় এবং ফসলে কীটনাশক কম লাগে। এতে কৃষক লাভবান হয়। এছাড়াও দোয়েল পাখি গাছ থেকে বিভিন্ন গাছের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন পোকামাকড় খেয়ে বিনাশ করে।
এভাবে দোয়েল পাখি পৃথিবীর ইকোসিস্টেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দোয়েল পাখি কত বছর বাঁচে
দোয়েল পাখি গড়ে প্রায় ১০-১৫ বছর পর্যন্ত বাঁচে। কিন্তু বর্তমানে এই পাখির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পেয়েছে। দোয়েল পাখি বিলুপ্ত হয়ে যেতে বসেছে। দোয়েল পাখি বিলুপ্ত হয়ে গেলে পৃথিবীর ইকোসিস্টেমে এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। এছাড়াও দোয়েল ক্ষতিকর বিভিন্ন পোকামাকড় খেয়ে ফসলের উপকার করে। এজন্য এই পাখি বিলুপ্ত হলে অন্যান্য ক্ষতির পাশাপাশি কৃষক ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দোয়েল কেন জাতীয় পাখি
দোয়েল কে বাংলাদেশের জাতীয় পাখি বলা হয়। এখন আমরা দোয়েল কেন জাতীয় পাখি এই বিষয়ে জানব।
দোয়েল এমন একটি পাখি যা বাংলাদেশের সর্বত্রই পাওয়া যায়। শহর, গ্রাম, বন জঙ্গল সব জায়গাতেই দোয়েলের দেখা মেলে। কিন্তু এই পাখির মতো অন্য কোন পাখিকে বাংলাদেশের সর্বত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। কোনটা শহরে দেখা গেলেও গ্ৰামে দেখা যায় না। আবার কোন টা গ্ৰামে দেখা গেলেও শহরে খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু দোয়েল কে বাংলাদেশের সর্বত্র শহর, গ্রাম, বন জঙ্গল সব জায়গাতেই দেখতে পাওয়া যায়। সেজন্য দোয়েল কে বাংলাদেশের জাতীয় পাখি উপাধি দেয়া হয়েছে।
দোয়েল পাখি সম্পর্কে ১০টি বাক্য
নিম্নে দোয়েল পাখি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য উল্লেখ করা হলো।
১. দোয়েল বাংলাদেশের জাতীয় পাখি।
২. দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম Copsychus saularis.
৩. দোয়েল পাখির ইংরেজি নাম Magpie Robin.
৪. দোয়েল পাখি ৪-৬ টি ডিম দিয়ে থাকে।
৬ দোয়েল পাখি সাধারণত পোকা মাকড় খেয়ে বেঁচে থাকে।
৭. দোয়েল পাখি জোড়ায় জোড়ায় বসবাস করে।
৮.দোয়েল পাখি সাধারণত গাছে বসবাস করে।
৯. দোয়েল পাখির শরীরে সাদা, কালো ও লালচে বাদামি রঙের পালক থাকে।
১০. দোয়েল পাখি চাষকৃত ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে।
দোয়েল পাখি অনুচ্ছেদ
দোয়েল বাংলাদেশের জাতীয় পাখি। এর ইংরেজি নাম Magpie Robin. এবং বৈজ্ঞানিক নাম Copsychus saularis.দোয়েল পাখি প্রায় ৪-৬ টি ডিম দিয়ে থাকে। এরা সাধারণত জোড়ায় জোড়ায় বসবাস করে। এইপাখি গড়ে প্রায় ১০-১৫ বছর পর্যন্ত বাঁচে।দোয়েল পাখি সাধারণত নিরিবিলি পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে। এরা সাধারণত গাছে বসবাস করে। এদের দেহের দৈর্ঘ্য সাধারণত ১৮-২১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও একটি দোয়েলের গড় ওজন ৩০-৮০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে।দোয়েল পাখি চাষকৃত ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে। দোয়েল পাখি গাছ পালা ও ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসলের উপকার করে।
শেষ কথা
এতক্ষণ আমরা দোয়েল পাখি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানলাম। একসময় এই পাখি বাংলাদেশের সর্বত্র দেখা গেলেও বর্তমানে খুবই কম দেখা যায়। ফসলের ক্ষেত ও গাছ পালার ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করা এই পাখিটি বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে। নির্বিচারে গাছ পালা কেটে ফেলা, বন জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করে বসত বাড়ি ও কলকারখানা স্থাপন করা এবং জমিতে ক্ষতিকর কীটনাশক প্রয়োগ করা এসব কারণ সহ আরও বিভিন্ন কারণে দোয়েল পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর ইকোসিস্টেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা এই পাখিটি কে রক্ষায় আমাদের সকলের এগিয়ে আসতে হবে। নাহলে এক সময় দোয়েল পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আর দোয়েল নামে কোন পাখি দেখতে পারবে না।
Post a Comment